প্রসঙ্গত ভারতের জি বাংলার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো সা রে গা মা পা গ্র্যান্ড ফিনালের সময় নোবেল নিজের দেশের জাতীয় সংগীত বদল করার মতামত দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন। সে সময় তিনি এ–ও বলেছিলেন, বাংলাদেশে তাঁর কাজ করার মতো কোনো সংগীত পরিচালক নেই। এমনকি তাঁর সঙ্গে দ্বৈতকণ্ঠে গান গাওয়ার যোগ্যতা দেশের কোনো নারী শিল্পীরা রাখেন না।
এদিকে নোবেলের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ সংগীতাঙ্গনের তরুণ প্রজন্মের সবাই। ফেসবুকে তাঁদের অনেকে নিজেদের ক্ষোভের কথাও তুলে ধরেছেন। শাস্ত্রীয় সংগীতে দিল্লির গান্ধর্ব মহাবিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক, বাংলাদেশি শিল্পী সমরজিৎ রায় বলেন, ‘যাঁদের গান গেয়ে আমরা সংগীতের প্রতি আকৃষ্ট হই, তাঁদের নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য করা উচিত নয়। ব্যক্তিগতভাবে দিল্লিতে গান শিখতে গিয়ে এটুকু বুঝেছি, মানুষ যতই সংগীতের গভীরে যায়, তাঁর আচরণ ততই উন্নত হয়। বিনম্র হয়। সে জায়গায় একজন তরুণ কয়েক বছর গান করে ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা বলা লিজেন্ডদের নিয়ে, এটা শিল্পী সমাজের জন্য কলঙ্ক।’
ভারতের জি বাংলার সা রে গা মা পা অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে নোবেল বাংলাদেশে আরও দুটি রিয়েলিটি শোতে অংশ নিয়েছিলেন। চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ এবং বাংলালিংক নেক্সট টিউবার প্রতিযোগিতা থেকে একটা পর্যায়ে বাদ পড়েন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিগগিরই নতুন গান প্রকাশ করতে যাচ্ছেন, তাই নেতিবাচক প্রচারণার কৌশল নিয়ে আলোচনায় থাকতে চান নোবেল। বিষয়টি নোবেলের অন্য পোস্টগুলো পড়লেও বোঝা যায়। তবে বিষয়টি যে নোবেল–ভক্তদের জন্যও হিতে বিপরীত হবে, সেটা ভাবতেও পারেননি হয়তো তিনি। নিজের ফেসবুকের অনুসারী যাঁরা আছেন, তাঁরাও নোবেলের এমন কৌশল কিংবা লিজেন্ডদের নিয়ে কথা বলাটাকে স্বাভাবিকভাবে নেননি। তাঁদের বেশির ভাগেরই মন্তব্য নোবেলের আচার-আচরণ খুবই ঔদ্ধত্যপূর্ণ, তাঁর মানসিক চিকিৎসা দরকার।